উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ শুরুর পর আমার মনে হয়েছিলো, মানুষদের কাছে সেবা পৌঁছে দেয়াটা অনেক সহজ হবে।
উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ শুরুর পর আমার মনে হয়েছিলো, মানুষদের কাছে সেবা পৌঁছে দেয়াটা অনেক সহজ হবে। কিন্তু, অল্পদিন যেতেই বুঝতে পারলাম, বিষয়টা আসলে বেশ কঠিন। কারণ, প্রথমত মানুষ ডিজিটাল সেন্টারের সেবা সম্পর্কে জানতোই না, অনেকে দ্বিধায় থাকতো, আদৌ পৌরসভা থেকেই এই জাতীয় সেবা নেয়া সত্যিই সম্ভব কিনা?
মানুষকে জানানো এবং ডিজিটাল সেন্টারে আগ্রহী করে তোলাটা ছিলো আমার জন্য সত্যিই চ্যালেঞ্জের বিষয়। ধীরে ধীরে মানুষ এতে অভ্যস্থ হয় এবং তারা এটা বিশ্বাস করে যে, ডিজিটাল সেন্টারে সব সেবাই পাওয়া যায়।
উদ্যোক্তা হিসেবে আমার লক্ষ্য ছিলো কেবল নিজেই স্বাবলম্বী না হয়ে আমার অঞ্চলের বেকার যুবকদের তথ্য-প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহী করে তোলা এবং তাদের জন্য কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করা। এ লক্ষ্যে আমাদের পৌর ডিজিটাল সেন্টার থেকে আমরা প্রায়ই কম্পিউটার ট্রেনিং এবং বিভিন্ন দক্ষতামূলক প্রশিক্ষণের আয়োজন করে থাকি।
বর্তমানে আমাদের ডিজিটাল সেন্টারে সেবার পরিমাণ অনেক বেড়েছে। আমি সবসময়েই চেষ্টা করি আমার আন্তরিকতা দিয়ে গ্রাহককে সর্বোচ্চ সেবা প্রদান করতে। এজন্য অসংখ্য সেবাগ্রহীতার সাথেই আমার সু’সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। ডিজিটাল সেন্টার সামাজিকভাবে আমার একটা অবস্থান তৈরি করেছে, একইভাবে অর্থনৈতিকভাবেও সম্মৃদ্ধ হয়েছি। আমার মত এমন অসংখ্য নারীই দেশ জুড়ে ডিজিটাল সেন্টারের কল্যাণে নিজের এবং পরিবারের স্বাচ্ছন্দ্য ফিরিয়ে আনছে।
শিউলী আক্তার
পৌর ডিজিটাল সেন্টার
শ্রীমঙ্গল পৌরসভা, শ্রীমঙ্গল
একজন উদ্যোক্তা হিসেবে আপনার পথচলা, সেবা এবং সফলতার গল্প জানাতে কমেন্ট করুন এই গল্পে কিংবা ছবি শেয়ার করুন আর জানিয়ে দিন সবাইকে।
#মুজিব_শতবর্ষ_ই_সেবা_ক্যাম্পেইন_২০২০
#ডিজিটাল_সেন্টারের_১০_বছর #এটুআই