স্কাউট এর প্রতিটি ক্যাম্পিং স্মরণীয়
স্কাউট এর প্রতিটি ক্যাম্পিং স্মরণীয়, তবে বিশেষ করে কোনো ঘটনা বলতে গেলে প্রথমেই মনে পড়ে ১০ম বাংলাদেশ ও তৃতীয় সানসো জাম্বুরীর কথা। সেখানে কাজী নজরুল ইসলাম ভিলেজ এর সাবক্যাম্প তিনে প্রথমবারের মতো ভলেন্টিয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলাম। মেয়েদের এই সাবক্যাম্পে সাধারণ ইউনিট এর সাথে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মেয়েদের দুইটি ইউনিট ও ভারত, নেপাল, মালদ্বীপ ও ভুটানের ইউনিট গুলি ছিল। একে তো প্রথমবারেই এত বড় দায়িত্ব, সাথে দুই ভাষায় কথা বলা, বিশেষ মেয়েদের প্রয়োজন গুলি বোঝা ইত্যাদি মিলিয়ে আমার নাজেহাল অবস্থা, এরই মধ্যে আমাদের ভিলেজ চীফ জনাব নুরুল ইসলাম স্যার, একে তো ৬ ফুটের উপর তার উচ্চতা, সাথে তেমনই ভারী গলা ও কঠিন ব্যক্তিত্ব! অনেক ভয় পেতাম তাকে শুরুতে। একদিন উপদলগুলির লিস্ট হাতে লিখে দিয়ে আসলাম স্যারকে, সেই লিস্ট নিয়ে তিনি ভিলেজ থেকে চলে আসলেন সাবক্যাম্পে! এসেই সাবক্যাম্প চীফকে তলব, কে লিখেছে এই তালিকা, আমি তাঁবুতে কিছু কাজ করছিলাম, শুনতে পাইনি প্রথমে, ম্যাডাম বললেন 'আমাদের ভলেন্টিয়ার পৃথ্বা লিখেছে', এবার উচু গলায় দিলেন ডাক, "কই সেই পৃথ্বা?" আমি ভয় পেয়ে রীতিমত দৌড় দিতে যেয়ে তাঁবুর দরজায় পড়লাম একবার! তাড়াতাড়ি আবার উঠে দৌড়, স্যার এর সামনে গেলে বললেন, "তুমি লিখেছ? এত বাজে হাতের লেখা" আমার তো প্রায় কান্না আসে, বললাম, দুঃখিত স্যার, তাড়াতাড়ি লিখতে যেয়ে… এবার স্যার হেসে দিলেন! বললেন," ভয় পেয়েছ! হা হা! আমি মজা করেছি, তোমার হাতের লেখা অনেক সুন্দর" কি অবস্থা আমার! এদিকে আমার সাথের আর দুই ভলেন্টিয়ার হাসতে হাসতে গড়াগড়ি! বললাম আমার ভয় পাওয়া দেখে হাসছ? একজন বললো (কাকতালীয় ভাবে তাদের দুই জনের নামই বিথী!) ভয় পেয়েছ ঠিক আছে, কিন্তু তাই বলে ইন্ডিয়া বাংলাদেশ হয়ে ঘুরছ কেনো? হা হা! তাই বলে তারা আমার পায়ের দিকে তাকালে বুঝলাম তাড়াহুড়োয় আমি একপায়ে এক বিথীর পন্স আর আরেকপায়ে আরেক বিথীর জুতা পরে গিয়েছি!