নিজে একটা প্রতিষ্ঠান দাঁড় করাবো, এই স্বপ্নটা আমার বহুদিনের। কিন্তু, পারিবারিক ও সামাজিক অবস্থানের কারণে ভেবেছিলাম এটা বুঝি কেবল স্বপ্নই রয়ে যাবে।
নিজে একটা প্রতিষ্ঠান দাঁড় করাবো, এই স্বপ্নটা আমার বহুদিনের। কিন্তু, পারিবারিক ও সামাজিক অবস্থানের কারণে ভেবেছিলাম এটা বুঝি কেবল স্বপ্নই রয়ে যাবে। ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে আমার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়েছে। কেবল নিজেই স্বাবলম্বী হয়েছি তা নয়, বরং একই সাথে আমার অঞ্চলের মানুষদের স্বাবলম্বী করার যে ইচ্ছেটা আমার ছিলো, সেটা এখন অনেকাংশই সত্যি।
প্রথম অবস্থায় যখন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা হিসেবে একটা কম্পিউটার এবং আনুষাঙ্গিক কিছু জিনিস পাই, আমি বেশ আন্তরিকতার সাথে এগুলোর সদ্ব্যবহার করি। ইউনিয়নের মানুষদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডিজিটাল সেন্টারে আসার নিমন্ত্রণ করি। তখন অনেকে কেবল উৎসাহ থেকেই আসে এবং সেবা নিয়ে সন্তুষ্ট হয়। এভাবে ধীরে ধীরে গ্রামে আমার ডিজিটাল সেন্টারের পরিচিতি বাড়তে থাকে।
সেবার পাশপাশি তখন আমি গ্রামের শিক্ষিত বেকারদের জন্য কিছু করার পরিকল্পনা করি। এক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন এবং এটুআই যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছে। তারপর তালিকা তৈরি করে বেকারদের প্রশিক্ষণে উদ্বুদ্ধ করি। একটা সময়ে অনেকেই আগ্রহী হয়। বর্তমানে আমাদের ডিজিটাল সেন্টার থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেই উদ্যোক্তা হয়েছে এমন বহু শিক্ষার্থী আমাদের গ্রামে আছে। একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে গ্রামের জন্য এইটুকু করতে পারাটা নিঃসন্দেহে আমার জন্য অনেক আনন্দের।
সাদিয়া কাউসার খানম
কাকারা ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার
চকরিয়া, কক্সবাজার
একজন উদ্যোক্তা হিসেবে আপনার পথচলা, সেবা এবং সফলতার গল্প জানাতে কমেন্ট করুন এই গল্পে কিংবা ছবি শেয়ার করুন আর জানিয়ে দিন সবাইকে।
#মুজিব_শতবর্ষ_ই_সেবা_ক্যাম্পেইন_২০২০
#ডিজিটাল_সেন্টারের_১০_বছর #এটুআই