খবরের কাগজ বিক্রয়ের গল্প
সকাল ৭ঃ৩০ মিনিটে তিস্তা এক্সপ্রেসে আমরা জামালপুর যাচ্ছি।
খুব ভোরেই বাসা থেকে বের হয়ে কমলাপুর স্টেশনে এসেছি।
আজকের খবরের কাগজে চোখ বুলাতে পারিনি।
আমি আর বন্ধু সালাহ উদ্ দীন 'ঝ' বগির নির্ধারিত সিটে বসতেই দেখি এক তরুন তিন আংগুলে স্কাউট চিহ্ন দেখিয়ে সীটের পাশে দাঁড়িয়ে আছে। তাকিয়ে দেখি তার মাথায় আজকের খবরের কাগজের স্তুপ।
নাম জিজ্ঞেস করতেই বললো মাহমুদ হোসেইন। স্কাউটিং করে রুপসা মুক্ত স্কাউট দলে। এটি Ticket to Life এর একটি স্কাউট দল। সে কমলাপুর রেল স্টেশনে দৈনিক পত্রিকা বিক্রয় করে।
খেয়াল করলাম, একটু আগে রোভারদের সাথে প্লাটফর্ম এ ছবি তোলার জন্য আমরা স্কার্ফ পরে ছিলাম, তা গলায় রয়ে গেছে। তা দেখেই মাহমুদের আমাদেরকে স্কাউট চিহ্ন দেখানো।
তার কাছ থেকে তিনটা পত্রিকা কিনলাম।
কথা প্রসংগে মাহমুদ জানালো, সে ইন্দো বাংলাদেশ স্কাউট ক্যাম্পেও অংশগ্রহন করেছিল।
মাহমুদের সাথে পরিচিত হয়ে এই সকালে মনটা আনন্দে ভরে গেল।
'স্কাউটিং' এই মাহমুদদের হয়তো ভেতর থেকে বদলে দিয়েছে।
দুঃখ হলো এই মাহমুদদের সংখ্যা আমরা বাড়াতে পারি নাই। আমরা মাহমুদদের সংখ্যা অনেক বাড়াতে পারলে এই দেশটাই দ্রুত বদলে যেতো ।