কর্মজীবন নিয়ে আমি বেশ সন্দিহান ছিলাম। কি করবো, কিভাবে শুরু করবো, ঠিক ভেবে পাচ্ছিলাম না। ডিজিটাল সেন্টার আমার এই সংকট দূর করে দেয়।
কর্মজীবন নিয়ে আমি বেশ সন্দিহান ছিলাম। কি করবো, কিভাবে শুরু করবো, ঠিক ভেবে পাচ্ছিলাম না। ডিজিটাল সেন্টার আমার এই সংকট দূর করে দেয়। শুরুর দিকে যখন এর নাম ছিলো ইউনিয়ন তথ্য সেবা ও কেন্দ্র, তখন মানুষ এটা সম্পর্কে বিশেষ একটা জানতো না। আমি চেষ্টা করেছি আমাদের সেবা আর আন্তরিকতা দিয়ে মানুষের কাছে এসব সেবা সম্পর্কে জানাতে। পরবর্তীতে ‘ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র’ নামটি পরিবর্তন হয়ে ‘ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার’ হয়েছে। বর্তমানে একটি ইউনিয়নের ছোট থেকে বয়স্ক সবাই একনামে ডিজিটাল সেন্টার চিনে। ইউনিয়ন পরিষদ ও পরিসংখ্যান অফিসের ডাটা এন্ট্রির কাজ, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার ভর্তির আবেদন, রেজিষ্ট্রেশন, ফরম ফিল-আপ অনলাইনের মাধ্যমে চালু হওয়ার ফলে সবাই ডিজিটাল সেন্টারে সেবা নিতে আসে এবং সহজ ও নির্ভুলভাবে সেবা পেয়ে সবাই খুশি। দিন দিন ডিজিটাল সেন্টারের সেবা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সাধারণ মানুষ সেবা নেয়ার জন্য ডিজিটাল সেন্টারে ভিড় জমাচ্ছে।
ডিজিটাল সেন্টারে কাজ করার সময় নানান ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি আবার সমাধানও পেয়েছি। কোন সমস্যা কিভাবে সমাধান করতে হবে তা একটু বুদ্ধি খাটিয়ে ম্যানেজ করে নিয়েছি। ডিজিটাল সেন্টার থেকে সেবা প্রাপ্তির মাধ্যমে আমার অঞ্চলের মানুষের জীবনমানের ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমান মানুষের জীবন চলার পথে ইন্টারনেটের গুরুত্ব অপরিসীম। তেমনি সকল সেবা দিন দিন অনলাইনের মাধ্যমে হওয়ার ফলে জনসাধারণ যেকোন প্রয়োজনে যেকোন কাজে ডিজিটাল সেন্টারে চলে আসে।
বর্তমানে আমার ইউনিয়নের প্রতিটি মানুষের কাছে অফলাইন এবং অনলাইন সেবার এক বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল সেন্টার।
মোঃ মাহাবুবুর রহমান
কামারজানি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার
গাইবান্ধা সদর, গাইবান্ধা
একজন উদ্যোক্তা হিসেবে আপনার পথচলা, সেবা এবং সফলতার গল্প জানাতে কমেন্ট করুন এই গল্পে কিংবা ছবি শেয়ার করুন আর জানিয়ে দিন সবাইকে।
#মুজিব_শতবর্ষ_ই_সেবা_ক্যাম্পেইন_২০২০
#ডিজিটাল_সেন্টারের_১০_বছর #এটুআই