Profile picture for user naymur_1
Bangladesh

জয়পুরহাটে মানুষকে ঘরে রাখতে মানবিক সংগঠন 'করোনা যুদ্ধে আমরা' চালু করল অনলাইন ও ভ্রাম্যমান নিত্যপন্য ও সবজি বাজার।

জয়পুরহাটে মানুষকে ঘরে রাখতে মানবিক সংগঠন 'করোনা যুদ্ধে আমরা' চালু করল অনলাইন ও ভ্রাম্যমান নিত্যপন্য ও সবজি বাজার। জয়পুরহাটে করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে মানুষের পাশে থেকে খাদ্য ও মানবিক সহযোগিতার কাজ করছে জেলার ২০টি সামাজিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠন করা 'করোনা যুদ্ধে আমরা' সংগঠনের শতাধিক যুবক। করোনা প্রভাব শুরু হওয়ার পর থেকে কর্মহীন খেটে মানুষের পাশে থেকে খাদ্য দ্রব্য সহ প্রতিদিন তারা জয়পুরহাট শহর ও গ্রামের অসহায় মানুষদের সহযোগিতা করছে। বাড়ি বাড়ি খাদ্য সহযোগিতার পাশাপাশি মানুষকে ঘরে রাখতে এবার তারা চালু করেছে অনলাইন ও ভ্রাম্যমান বাজার। হটলাইনে প্রয়োজনীয় বাজারের কথা জানানো মাত্র সেই বাসায় চলে যাচ্ছে বাজার। আর প্রতিদিন বিভিন্ন মহল্লায় চলে যাচ্ছে বাজারভর্তি ট্রাক। এক থেকে দুই ঘন্টা অবস্থান করে মাইকে আহ্বান জানানো হচ্ছে। ক্রেতারা যার যা প্রয়োজন ন্যায্যমূল্যে ও বাজার থেকে কম মুল্যে কিনছেন নানা রকম সবজি। করোনা সংক্রমণরোধে মানুষকে ঘরে রাখার জন্যই এই উদ্যোগ নিয়েছেন 'করোনা যুদ্ধে আমরা' সংগঠনের সৈনিকরা। দেশে করোনা সংক্রমণরোধে সরকারি নির্দেশনা আসার পর জয়পুরহাট শহরে গত ২৩ মার্চ থেকে ২০ সামাজিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠন করা হয় 'করোনা যুদ্ধে আমরা' নামের সংগঠনটির। মানবতার পাশে থেকে সংগঠনের একশ সদস্য কাজ করছে সেই থেকে। এ পর্যন্ত তারা শহরের সাড়ে তিন হাজার পরিবারকে খাদ্য সহযোগিতা করেছে। অসহায়দের তালিকা করে প্রতিটি পরিবারে পৌঁছিয়েছে চাল, ডাল, আটা ও তেল। এ ছাড়া শহরের প্রফেসর পাড়া মহল্লায় গড়ে তোলা সংগঠনটির প্রধান কার্যালয়ে প্রতিদিন রাত ৯টায় জয়পুরহাটের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে ফেসবুক লাইভে টকশো প্রচারও চলমান রয়েছে সেই থেকে। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার থেকে তারা চালু করেছে অনলাইন বাজার। যার নাম দেওয়া হয়েছে 'চাষির মনে হাসি'। এ কর্মসূচিতে তাদের স্লোগান করোনা প্রতিরোধে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখুন, ঘরে থাকুন। চাষিদের বাঁচাতে তাদের উৎপাদিত পন্য সরাসরি জমি থেকে ন্যায্যমূল্যে পৌঁছে দেব আপনার ঘরে। তাদের এ কর্মসূচিতে মানুষের ব্যাপক সাড়াও মিলেছে। গতকাল সকালে অনুষ্ঠানিকভাবে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জয়পুরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন চন্দ্র রায়। জয়পুরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন চন্দ্র রায় বলেন, 'করোনা যুদ্ধে আমরা' সংগঠনটির সদস্যরা করোনা সংক্রমণরোধে মানুষের পাশে থেকে মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও আমরা তাদের সাপোর্ট দেওয়ার চেষ্টা করছি। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার ভূমি রকিবুল হাসান, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা আব্দুল্লা আল মামুন, করোনা যুদ্ধে আমরা সংগঠনের সমন্য়কারী তিতাস মোস্তাফা, জয়পুরহাট টেলিভিশন রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবদুল আলীম মন্ডল, করোনা যুদ্ধে আমরা এর সদস্য তমাল, সজীব, সোহাগ, হিরা প্রমুখ।
Started Ended
Number of participants
69
Service hours
138000
Topics
Youth Programme
Youth Engagement
Personal safety
Legacy BWF
Good Governance
Communications and Scouting Profile
Partnerships
Global Support Assessment Tool
Growth

Share via

Share