একজন উদ্যোক্তা হিসেবে আপনার পথচলা, সেবা এবং সফলতার গল্প জানাতে কমেন্ট করুন এই গল্পে কিংবা ছবি শেয়ার করুন আর জানিয়ে দিন সবাইকে।
শুরুতে আমি ইউনিয়ন পরিষদে কম্পিউটার কম্পোজ-এর মত কিছু কাজ করতাম। ২০১১ সালে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ শুরু করি। তখন থেকে পুরো সেন্টারের সব কিছু একজন উদ্যোক্তা হিসেবে আমায় দিয়ে দেয়া হয়। এর মাধ্যমে যা কিছু উপার্জন হবে, সবই আমার থাকবে। এই প্রেরণা থেকে শুরু হয় নতুন উদ্যমে কাজ। সেই থেকে আমি চেষ্টা করেছি ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে আমার ইউনিয়নের মানুষকে সেবা দিয়ে নিজে স্বাবলম্বী হতে। প্রথমে আমার চ্যালেঞ্জ ছিলো গ্রামের মানুষকে ডিজিটাল সেন্টার সম্পর্কে জানানো এবং এখানে সেবা নেয়ার জন্য আগ্রহী করে তোলা।
তখনো গ্রামে সবার কাছে মোবাইল বা ইন্টারনেট সহজলভ্য ছিলো না। আমাদের গ্রামের কেউ আগে ভাবেনি এক নিমিষে বিদেশে ছেলের সাথে সরাসরি কথা বলতে পারবে। কিন্তু, এখন ডিজিটাল সেন্টারের সেবার কারণে গ্রামের মানুষের এই মনোভাব পরিবর্তন হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রামের একজন কৃষক যখন হাতের নাগালে বসে ডিসি অফিসে জমির পর্চা বা নকল উঠানোর আবেদন করতে সক্ষম হয়, তখন সে ডিজিটাল সেন্টার-এর ভূমিকা সম্পর্কে ধারণা পেয়ে যায়। ফলে এইসব সেবা গ্রহীতারাই গ্রামের অন্যান্যদের কাছে আমাদের কার্যক্রমের খবর পৌঁছে দেয়।
এই দীর্ঘ সময়ের পথচলায় আমার গ্রামের মানুষেরা তাদের ছেলেমেয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, পরীক্ষার ফলাফল, নিজের সম্পত্তির কাগজপত্র তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে মূহুর্তের মধ্যে হাতে পেয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও কৃষি, স্বাস্থ্য, প্রশাসনিক কাজসহ বিভিন্ন রকম সেবা পাওয়ায় ডিজিটাল সেন্টার অর্জন করেছে বিশ্বস্ততা। প্রতিটি সেবার বিনিময়ে ১০ বছরে আমি আমার ইউনিয়নের জনগণের কাছ থেকে পেয়েছি অপরিসীম ভালোবাসা।
মোজাম্মেল হক বদরুল
৭ নং তালশহর (পূর্ব) ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার
মোহনপুর, অষ্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
একজন উদ্যোক্তা হিসেবে আপনার পথচলা, সেবা এবং সফলতার গল্প জানাতে কমেন্ট করুন এই গল্পে কিংবা ছবি শেয়ার করুন আর জানিয়ে দিন সবাইকে।
#মুজিব_শতবর্ষ_ই_সেবা_ক্যাম্পেইন_২০২০
#ডিজিটাল_সেন্তারের_১০_বছর_বছর #এটুআই