বিনা মূল্যে ধান কেটে দিলেন মেলান্দহ মুক্ত স্কাউট গ্রুপের সদস্যরা
জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলায় এ অনন্য নজির সৃষ্টি করলেন মেলান্দহ মুক্ত স্কাউট গ্রুপের তরুণ সদস্যরা। স্কাউটের এই গ্রুপে আছেন জামালপুর ও মেলান্দহের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করা তরুণ-তরুণীরা। কৃষকেরা যখন ধান কাটা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন, তখন সহযোগিতার হাত বাড়ালেন স্কাউট সদস্যরা। আজ মঙ্গলবার ধান কেটে কৃষকের বাড়ি পৌঁছে দিলেন তাঁরা। করোনার মধ্যে টানা প্রায় ৯ মাস ঘর বন্ধি থাকার কারণে কৃষকেরা যখন ধান কাটা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। শ্রমিকের চড়া মজুরি ও সংকটের কারণে যেসব কৃষক বেশি অসহায় হয়ে পড়েছেন, সে সব কৃষকদের অগ্রাধিকার দিয়ে ধান কেটে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেলান্দহ মুক্ত স্কাউট গ্রুপ। মেলান্দহ মুক্ত রোভার স্কাউট গ্রুপের সিনিয়র রোভার মেট মোঃ শাকিল খান এর নেতৃত্বে আজ সকাল থেকে মেলান্দহ উপজেলার মেলান্দহ পৌর সভার পাচুরপাড়া গ্রামে এ কাজের শুরু করেন তাঁরা। পাচুরপাড়া গ্রামের বিধবা মহিলা আফরোজা খাতুনের ৫০ শতক জমির ধান কাটতে পারছিলেন না। মেলান্দহ মুক্ত স্কাউট গ্রুপের সদস্যরা ওই ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছেন। স্বেচ্ছাশ্রমে স্কাউট সদস্যদের ধান কেটে দেওয়ার বিষয়টি ওই এলাকায় সারা ফেলেছে। গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, কৃষকদের পাশে দাঁড়ানো তরুণদের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। এতে অসহায় কৃষক উপকৃত হবেন। মেলান্দহ মুক্ত স্কাউট গ্রুপের সম্পাদক মোঃ হাসান আলী বলেন, বর্তমানে মহামারি করোনা ভাইরাসের মধ্যে টানা প্রায় ৯ মাস ঘর বন্ধি থাকার কারণে কৃষকেরা যখন টাকান অভাবে ধান কাটা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন এবং ক্ষেতে ধান পাকার পরেরও ধান কাটতে পরতেছেন না সেজন্য স্কাউট দল সেবাদানে পাশে এসে দাড়ান তাদের পাশে। আজ সকাল ৯টা থেকে ধান কাটার কাজ শুরু হয়। গ্রুপের ৬৮ জন সদস্য ধান কাটার কাজ করেন। ‘ধানের দাম কম, আবার শ্রমিক সংকটের বিষয়টি এখন সারা দেশের সমস্যা। আমাদের এ উদ্যোগ চলমান থাকবে। তিনি আরও বলেন, স্কাউটনসদস্যরা আগে কোনো দিন ধান কাটেননি। স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কেটে তাঁরা আনন্দিত। ধান কাটা কাজ বেলা তিনটায় শেষ করেন।