শব্দ দূষণ বন্ধ করি নীরব মিনিট পালন করি
শব্দদূষণ দেশ, কাল, স্থান ভেদে অন্য সমস্যার পাশাপাশি স্বাস্থ্য সমস্যাটিও বড় করে তুলছে৷ যেমন একটানা গাড়ির শব্দ কিংবা উচ্চ শব্দের গান হৃদরোগের ঝুঁকি, শ্রবণশক্তি হ্রাস, মানসিক চাপ বাড়ানো ছাড়াও নানা রোগের ঝুঁকি বাড়ায়৷
শব্দদূষণের কারণে শ্রবণশক্তি হ্রাসের পাশাপাশি মানুষের স্বাস্থ্য এবং আচার-আচরণ উভয় ক্ষেত্রেই সমস্যার সৃষ্টি করে। অপ্রয়োজনীয় ও অতিরিক্ত শব্দের কারণে ব্যক্তির শারীরিক ও মানসিক স্বাভাবিক কার্যকলাপ ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। শব্দদূষণের কারণে দুশ্চিন্তা, উগ্রতা, উচ্চ রক্তচাপ, শ্রবণশক্তি হ্রাস, ঘুমের ব্যাঘাতসহ অন্যান্য ক্ষতিকর ও বিরূপ প্রতিক্রিয়া ঘটতে পারে। এছাড়াও অন্যান্য শারীরিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে স্মরণশক্তি হ্রাস, মানসিক অবসাদ ইত্যাদি হতে পারে।
অতিরিক্ত শব্দের উৎস গুলো কমানো যায়: যেমন শব্দবাজি না ফাটানো বা খুব শব্দ করে সেইরাম যন্ত্রপাতি দরকারের বেশি না চালানো। রাস্তায় যত যানবাহন আছে, সেগুলো যদি ব্যাটারী চালিত হয়, তবে এই সব যানবাহনের থেকে নির্গত হওয়া আওয়াজ অনেক কমে যাবে, কারণ বাটারিচালিত গাড়ি ইলেক্ট্রিক মোটর এ চলে, যেগুলো খুব কম শব্দ করে চলাকালীন।
শব্দ দূষণের বর্তমান মাত্রা খুবই উদ্বেগজনক। এটি একটি জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। কিন্তু আমাদের অসচেতনতার কারণে, আমরা প্রায়ই বলি যে এটি সমাধান করা সম্ভব নয়। কিন্তু এই সমস্যাগুলো মানবসৃষ্ট। একটু সচেতন হলেই এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এ জন্য আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও মানুষের প্রতি সহনশীল হতে হবে। অযথা হর্ন বাজানোর দরকার নেই, হাইড্রোলিক হর্ন এড়িয়ে চলুন, সামাজিক অনুষ্ঠানে উচ্চস্বরে গান বা যন্ত্র বাজানো থেকে বিরত থাকুন। নির্মাণ কাজে শব্দের সীমা বজায় রাখুন।