
❝জুলাইয়ের আন্দোলনে স্বেচ্ছাসেবী অবদান❞
আমার প্রেরণা হলো—একটি নিরাপদ ও শৃঙ্খলাপূর্ণ সমাজ গড়ে তোলা, যেখানে সবাই নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে, বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা যেন তাদের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলোতে কোনো ধরনের সমস্যার সম্মুখীন না হয়।
আমরা এসএসসি পরীক্ষার সময় ৫ দিন ধরে, প্রতিদিন ১০ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে ৪টি পরীক্ষাকেন্দ্র এলাকায় দায়িত্ব পালন করেছি। আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল পরীক্ষার্থীরা যাতে কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়া সময়মতো পরীক্ষার হলে পৌঁছাতে পারে এবং অভিভাবকসহ সাধারণ মানুষও যাতে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে। এজন্য আমরা এলাকার সড়কগুলোতে সচেতনভাবে পরিচালনা করেছি এবং ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে শৃঙ্খলা বজায় রেখেছি।
এই কাজের মাধ্যমে আমি শিখেছি—সচেতনতা, ধৈর্য এবং সহযোগিতা আমাদের জীবনে বড় পরিবর্তন আনতে পারে। পরীক্ষার্থীরা নিরাপদে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছাতে পারা আমাদের জন্য ছিল বড় সাফল্য এবং আনন্দের বিষয়। কমিউনিটির সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার অভিজ্ঞতা আমার কাছে ছিল ভিন্ন রকম। ছোট একটি উদ্যোগ থেকেও সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব—এটাই আমি উপলব্ধি করেছি।