Indo-Bangladesh Scout Friendship Programme-2020
Connecting Today, for Tomorrow's এ থিম নিয়ে ২৮ জুন, ২০২০ রবিবার উদ্বোধন হলো ১ম ইন্দো-বাংলাদেশ স্কাউট ফ্রেন্ডশিপ প্রোগ্রাম।
অনলাইনে সংযুক্ত থেকে বিকেল ৫টায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ও এ প্রোগ্রাম উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ স্কাউটস এর প্রধান জাতীয় কমিশনার ও দুর্নীতি দমন কমিশন এর মাননীয় কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন ভারত স্কাউটস অ্যান্ড গাইডস পশ্চিমবঙ্গের স্টেট চিফ কমিশনার জনাব দেবাদিত্ত চক্রবর্তী, বাংলাদেশ স্কাউটস এর জাতীয় কমিশনার (আন্তর্জাতিক) ও এশিয়া-প্যাসিফিক রিজিওনাল স্কাউট কমিটির সদস্য জনাব রফিকুল ইসলাম খান ও ভারত স্কাউটস অ্যান্ড গাইডস এর ন্যাশনাল কমিশনার (ট্রেনিং) ও পশ্চিমবঙ্গের স্টেট কমিশনার জনাব শ্যামল কুমার বিশ্বাস।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ স্কাউটস এর জাতীয় কমিশনার (এক্সটেনশন স্কাউটিং) জনাব কাজী নাজমুল হক। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ভারত স্কাউটস অ্যান্ড গাইডস পশ্চিমবঙ্গের স্টেট অর্গানাইজিং কমিশনার জনাব প্রবোধ রন্জন বিশ্বাস।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ স্কাউটস এর জাতীয় উপ কমিশনার অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার।
ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাংলাদেশ স্কাউটস এর নির্বাহী পরিচালক জনাব আরশাদুল মুকাদ্দিস।
বাংলাদেশ স্কাউটস এর সহসভাপতি, জাতীয় কমিশনার, জাতীয় উপ কমিশানার, এক্সটেনশন স্কাউটিং এর জাতীয় কমিটির সদস্য ও জাতীয় সদর দফতরের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং ভারত স্কাউটস এন্ড গাইডস এর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, দুই দেশের অংশগ্রহনকারী দলসমূহের গ্রুপ সভাপতি, সম্পাদকসহ রোভার ও স্কাউটসরা সংযুক্ত ছিলেন।
#দুই দেশের ১৪ টি মুক্ত দলের (প্রতি দলে ২৪ জন) মোট ৩৩৬ জন স্কাউটস ও রোভার এবং কর্মকর্তা মিলে প্রায় ৪০০ জন এ প্রোগ্রামে সংযুক্ত থাকছেন। সপ্তাহব্যাপী এ প্রোগ্রাম (প্রতিদিন বাংলাদেশ সময় রাত ৮.৩০ -১০.৩০মি) আগামী রবিবার শেষ হবে। বাংলাদেশ স্কাউটস এর পেজে প্রতিদিন এটি সরাসরি সম্প্রচার হবে।
সপ্তাহব্যাপী এ প্রোগ্রামে করোনাকালীন সংকটে দুই দেশের জাতীয় পর্যায়ে গৃহীত স্কাউটিং কার্যক্রম, দলসমূহের ভূমিকা ও এতে অংশগ্রহণ, দৃষ্টিভঙ্গী, করোনাউত্তর সংকট মোকাবেলায় ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে তরুণরা মত বিনিময় করবে। করোনাকালে তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা নিয়েও পরস্পর মত বিনিময় হবে।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে করোনা সমস্যাকে সম্ভাবনা হিসেবে কাজে লাগানোর আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সভায় বক্তারা করোনা সংকট উত্তরণে পারস্পরিক সহযোগীতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দুই বন্ধু প্রতীম দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ পরিকল্পনায় নেপাল ও ভুটানকেও সম্পৃক্ত করে আর বড় প্রোগ্রাম করার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। মুজিব শতবর্ষে এ অনুষ্ঠান আলাদা গুরুত্ব বহন করে বলেও বক্তারা মত প্রকাশ করেন। দুই দেশের স্কাউট ইতিহাসে এ অনুষ্ঠান একটি মাইলফলক।
মুজিব শতবর্ষে বাংলাদেশ স্কাউটস গৃহীত দুই দেশের বর্ডারে ২ টি করে চারটি স্কাউট সমাবেশ করোনায় অনিশ্চিত হলেও এখনো আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
করোনাকাল শেষে দুই দেশের দলসমূহ পরস্পরে সফর বিনিময় করবে বলেও মত প্রকাশ করা হয়। পরিস্হিতি স্বাভাবিক হলে ভারতে অবস্হিত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্হানসমূহে বাংলাদেশী দল প্রেরণে ইচ্ছে ব্যক্ত করা হয়।
সপ্তমদিন বাংলাদেশ সময় রাত ৮.৩০ টায় প্রোগ্রামে অংশ নেয় বাংলাদেশের থার্টিন হুসার্চ ওপেন রোভার স্কাউট গ্রুপ ও ভারতের কে. পি. ভি. স্কাউট গ্রুপ।