বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের কল্যাণে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম
৩০ বছরের রেকর্ড ভাঙা বন্যা, সাথে বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনা ভাইরাস, সব মিলে দূর্যোগে জরাজীর্ণ আমাদের দেশ।
সাম্প্রতিক সময়ের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এ দেশের অসংখ্য পরিবার। বন্যায় নদী ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে শত শত ঘর-বাড়ি, নষ্ট হয়ে গেছে জমির ফসল আর দু-চার পয়সা রোজগার করে খাবার সম্বলটুকু। বৈশ্বিক মহামারি তে যখন পরিবার গুলোর নাজেহাল অবস্থা সেই মুহূর্তে ভয়াবহ বন্যা যেন জীবনের সবচেয়ে বড় হুমকির জানান দিয়ে যাচ্ছে। রাস্তা ঘাট, পুল, সাঁকো ও ব্রিজ ভেঙ্গে বিছিন্ন হয়ে গেছে অনেক গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা। সব মিলিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ অবস্থায় মানবেতর জীবন-যাপন করছে বানভাসি পরিবার গুলো।
যেখানে পুরো গ্রাম বুক সমান পানিতে তলিয়ে আছে, সেখানে পবিত্র ঈদ যে একটি বিশেষ দিন সেটা তারা কল্পনাও করতে পারেন না। কেমন কাটবে ঐ সমস্ত অসহায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের ঈদ?
অসহায় পরিবার গুলোর পাশে দাঁড়াতে গত ২রা আগস্ট ২০২০ইং, পবিত্র ঈদ উল আজহার ২য় দিন বানভাসি মানুষের সাথে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য সচেতনতা বজায় রেখে ঈদের সময়টুকু ভাগাভাগি করে নেয় "জিনিয়াস ওপেন স্কাউট গ্রুপ" এর একদল রোভার স্কাউট।
বন্যা ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তায় গ্রুপের সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে গ্রুপ সম্পাদক জনাব শাকিল আহমেদের পরিকল্পনা ও জেলা সম্পাদক জনাব নাজমুল হক টিটু এর অনুমতিক্রমে ফরিদপুর জেলার ভাঙা থানায় গ্রুপের সাধ্য অনুযায়ী কিছু পরিবারকে শুকনো খাবার, বন্যা-কালীন সময়ের প্রয়োজনীয় ঔষধ, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ইত্যাদি বিতরণ করা হয়।
বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় পরিবারগুলোকে নির্বাচন করে তাদের মাঝে সুষ্ঠুভাবে উপহার সামগ্রী তুলে দিতে সহায়তা করেন স্থানীয় সমাজ সেবক জনাব মিসেস সরোয়ার।
খুব বেশি না হলেও যথেস্ট পরিমান উপহার সামগ্রী পেয়ে বানভাসি অসহায় পরিবার সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। যোগাযোগ ব্যবস্থার ভোগান্তি ভোগ করা সত্ত্বেও সম্পূর্ণ বিশৃংখলাবিহীন ভাবে "জিনিয়াস ওপেন স্কাউট গ্রুপ" অসহায় পরিবারের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন। এছাড়া ৭ টি পরিবারের ঘরের মালামাল অপসারণ করে উঁচু স্থানে পৌঁছে দিতে যথাযথ ভাবে কাজ করেন।
এর সাথে বানভাসি মানুষদের জন্য "করোনায় করনীয়" স্বাস্থ্য সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করেন।