
My Rover Journey with World Scouting
প্রিয় বন্ধুরা,
আজ আমি আমার জীবনের এক বিশেষ অধ্যায় আপনাদের সাথে ভাগ করে নিতে ভীষণ উত্তেজিত। এই মাসের ২৪–২৬ তারিখে, আমি আমার ৩ দিনের দীক্ষা (Investiture) সম্পন্ন করেছি এবং আনুষ্ঠানিকভাবে রোভার স্কাউট হয়েছি। এই মুহূর্তটা শুধু একটি অনুষ্ঠানই নয়—বরং ছিল এক যাত্রার শুরু, যা ভরা সেবা, বন্ধুত্ব আর বৈশ্বিক ঐক্যের আলোতে।
রোভার হওয়া মানে হলো নিজের থেকেও অনেক বড় কিছুর অংশ হওয়া: ওয়ার্ল্ড স্কাউটিং মুভমেন্ট (WOSM)। বিশ্বের ১৭৬টি দেশে ৫১ মিলিয়নেরও বেশি স্কাউট নিয়ে ওয়ার্ল্ড স্কাউটিং একটি বিশাল পরিবার। এর মিশন খুবই সহজ অথচ শক্তিশালী: “একটি ভালো পৃথিবী গড়ে তোলা, যেখানে মানুষ আত্মতৃপ্ত এবং সমাজে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে।”
Scouts for SDGs উদ্যোগের মাধ্যমে, বিশ্বজুড়ে স্কাউটরা ইতিমধ্যেই পৃথিবীকে বদলে দিচ্ছে—জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDGs) অর্জনের জন্য কোটিরও বেশি সেবার ঘণ্টা অবদান রেখে।
প্রকৃতি রক্ষা, শান্তি প্রতিষ্ঠা, শিক্ষার প্রসার কিংবা পার্টনারশিপ তৈরি—প্রমাণ করছে যে তরুণরাই সত্যিকারের পরিবর্তন আনতে পারে।
কিছু অসাধারণ সাফল্য:
১৬৪টি জাতীয় স্কাউট সংগঠন তাদের যুব কার্যক্রমকে SDG’র সাথে মিলিয়ে নিয়েছে
২.৭ বিলিয়ন ঘণ্টার বেশি সেবা কার্যক্রম ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে বিশ্বজুড়ে
প্রকল্পগুলো ৫০ লাখ মানুষের কাছে পৌঁছেছে এবং আরও লাখো মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে
একজন নতুন রোভার হিসেবে আমার স্বপ্নও এই পথেই হাঁটা—আমার সমাজের সেবা করা, শান্তিকে সমর্থন করা এবং আমাদের পৃথিবীকে রক্ষা করা। আমার বিশ্বাস, স্কাউটিং শুধু একটি অ্যাডভেঞ্চার নয়, বরং এটি একটি দায়িত্ব—যা আশার আলো, দয়ার ছোঁয়া এবং ইতিবাচক পরিবর্তন আনে।
তাই আজ, এই পোস্টের মাধ্যমে আমি রোভার হিসেবে আমার আনন্দ আর গর্ব প্রকাশ করছি। ওয়ার্ল্ড স্কাউটিং-এর মাধ্যমে আমি সারা বিশ্বের প্রতিটি স্কাউট ভাই-বোনের সাথে যুক্ত অনুভব করি। আমরা যেখানেই থাকি না কেন, আমাদের হৃদয় একসাথে একই প্রতিশ্রুতিতে ধ্বনিত হয়:
“সদা প্রস্তুত… পৃথিবীকে আরও সুন্দর করে গড়ার জন্য।”