গরীব কৃষকের পাকা ধান কেটে দেওয়া
পাকা ধান ক্ষেত। চলছে মজুর-কামলার সংকট। বাজারে ধানের দামও কম। মনের দুঃখে অনেক গরিব কৃষকও তার নিজের জমির ধান না কেটে অন্যের জমিতে মজুরি করছে। এ অবস্থায় স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কাটতে দরিদ্র কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল সরকারি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তারা স্থানীয় দরিদ্র কৃষকের জমির পাকা ধান কেটে ঘরে তুলে দেয়।
শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) সকালে উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ধর্মতীর্থ গ্রামের কৃষক মো. মজর আলীর (৬৮) জমির পাকা ধান পাশের ধরন্তি হাওর থেকে কেটে কৃষকের বাড়িতে পৌঁছে দেন কলেজের অধ্যক্ষ মৃধা আহমেদুল কামাল-এর নেতৃত্বে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। স্বেচ্ছায় এ ধান কাটার কাজে কলেজের শিক্ষকদের মধ্যে অংশ নেন প্রভাষক এরশাদ আলী, মানিকুর রহমান, খাইরুল ইসলাম ও শরীর চর্চা শিক্ষক ইকবাল হোসেন।
কৃষক মজর আলী বলেন, হাতে কোন টাকা ছিল না। জমিতে পাকা ধান। এ অবস্থায় দিশেহারা ছিলাম। বিনা টাকায় তাঁরা আমার জমির ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছেন। আল্লাহ, স্যার ও বাচ্চাগুলোকে (শিক্ষার্থীদের) ভালো রাখুক।
সরাইল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মৃধা আহমেদুল কামাল বলেন, করোনার প্রভাবে এলাকার মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে মানুষ এখন ঘরমুখো। শ্রমিক সঙ্কটের কারণে অনেক কৃষক জমির পাকা ধান ঘরে তুলতে পারছে না। এতে দরিদ্র কৃষক বেশি বেকায়দায়।
আমরা (শিক্ষক-শিক্ষার্থী) দরিদ্র কৃষক মজর আলীর জমির ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছি। এই করোনা পরিস্থিতিতে এলাকার কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবান ও শিক্ষা বোর্ডের লিখিত নির্দেশনাও রয়েছে। এছাড়াও মানুষ মানুষের জন্যে, এ দায়িত্ববোধ থেকেও আমরা দরিদ্র কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছি।