সশস্ত্র_প্রতিরোধ_দিবসে রোভার এর সেবা কার্যক্রম
১৯ মার্চ ১ম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসন গাজীপুর আয়োজিত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. মো: মশিউর রহমান। মাননীয় উপাচার্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ও সভাপতি বাংলাদেশ স্কাউটস রোভার অঞ্চল।
এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
গাজীপুর উন্নয়ন কতৃপক্ষ এর চেয়ারম্যান
বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট আজমত উল্লা খান। ও আরও উপস্থিত ছিলেন
অধ্যাপক এম. এ বারী সাবেক অধ্যক্ষ গাজীপুর সরকারি মহিলা কলেজ ও সহ-সভাপতি বাংলাদেশ স্কাউটস রোভার অঞ্চল।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে করেন জনাব আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম, মান্যবর জেলা প্রশাসক- গাজীপুর ও সভাপতি বাংলাদেশ স্কাউটস গাজীপুর জেলা রোভার। উপস্থিত ছিলেন আরো বীর মুক্তিযোদ্ধা গণ এবং সুধীবৃন্দ ও গাজীপুর জেলা রোভার ও স্কাউট এর সদস্যবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথিবৃন্দের বক্তব্যের মাঝে ৯ শে মার্চ এর স্মৃতিচারণ করা হয়।
আজ সেই ১৯ মার্চ। প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস। ১৯৭১ সালের আজকের দিনে গাজীপুরে সংঘটিত হয়েছিল প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধ। ওই সময়ে জয়দেবপুরে প্রতিরোধের কথা সমগ্র দেশে ছড়িয়ে পড়ে। জয়দেবপুরের প্রতিরোধকামী জনতার বীরত্বের কারণে সে সময় সমগ্র বাংলাদেশে স্লোগান ওঠে, ‘জয়দেবপুরের পথ ধর বাংলাদেশ স্বাধীন কর’।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পর আন্দোলন দুর্বল করতে অন্যান্য সেনানিবাসের মতো জয়দেবপুরের দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বাঙালি সৈন্যদের কৌশলে নিরস্ত্র করার জন্য তাঁদের অস্ত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় ঢাকা ব্রিগেড সদর দপ্তর। কিন্তু মুক্তিকামী বাঙালি সৈন্য ও স্থানীয় জনতা তাদের মতলব বুঝতে পেরে অস্ত্র জমা না দিয়ে চান্দনা চৌরাস্তা থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে বাধা দেওয়ার জন্য সড়কে অবরোধ সৃষ্টি করেন।
১৯ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জাহানজেব ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈন্যদের সতর্কতা ও রাস্তায় আন্দোলনকারীদের দেখে অস্ত্র জমা নেওয়ার আশা ত্যাগ করে ঢাকায় ফিরছিলেন। এ সময় ছাত্র-জনতা জয়দেবপুরের রেলক্রসিং এলাকা ও চান্দনা চৌরাস্তায় তাদের বাধা দেন। এ সময় পাকিস্তনি বাহিনী গুলি ছুড়লে ছাত্র-জনতা সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন হুরমত, নিয়ামত, কানু মিয়া ও মনু খলিফা। আহত হন আরও অনেকে। এরই ধারাবাহিকতায় শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিসংগ্রাম। তখন স্লোগান ওঠে ‘জয়দেবপুরের পথ ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো’। পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে ওটাই ছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধযুদ্ধ।
উক্ত অনুষ্ঠান আমরা কাজী আজিমউদ্দিন কলেজ রোভার স্কাউট গ্রুপ এর সদস্য বৃন্দ উপস্থিত ছিলাম।