
ট্রাফিক সচেতনতা: নিরাপদ চলাচলের অঙ্গীকার
আমাদের শহরের ট্রাফিক জ্যাম, সড়ক দুর্ঘটনা ও নিয়ম না মানার প্রবণতা দিন দিন বেড়ে চলেছে। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন শুধুমাত্র ট্রাফিক নিয়ম অমান্য করার কারণে। এই সমস্যাগুলো সমাধানের লক্ষ্যে মানুষকে ট্রাফিক নিয়ম সম্পর্কে সচেতন করা এবং সুশৃঙ্খল চলাচলের গুরুত্ব বোঝানোই ছিল এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।আমরা বিশ্বাস করি, সচেতন নাগরিকই পারে নিরাপদ সড়কের পরিবেশ গড়ে তুলতে। তাই নিজে সচেতন থেকে অন্যদেরও সচেতন করাই ছিল আমাদের অনুপ্রেরণা।
প্রকল্পের শুরুতে আমরা ব্যস্ত সড়কে পোস্টার লাগানো, লিফলেট বিতরণ এবং সরাসরি পথচারীদের ট্রাফিক নিয়ম বোঝানোর মাধ্যমে সচেতনতা কার্যক্রম শুরু করি। ৫ আগস্টের পর জাতীয় অস্থিরতা কিছুটা বাধা সৃষ্টি করলেও আমরা পিছিয়ে যাইনি। পরিস্থিতি বিবেচনায় সীমিত পরিসরে কাজ চালিয়ে যাই যেমন স্থানীয় পর্যায়ে প্রচার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আলোচনা, এবং সামাজিক মাধ্যমে বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া।আমাদের দল নিয়মিত যোগাযোগ ও পরিকল্পনার মাধ্যমে কার্যক্রম চালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
ট্রাফিক নিয়ম সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা কতটা জরুরি এবং কঠিন কাজ। মানুষের আচরণ পরিবর্তনে ধৈর্য, সহানুভূতি ও ধারাবাহিক প্রচেষ্টা দরকার।আমরা দলগতভাবে কাজ করা, সময় ব্যবস্থাপনা এবং সংকটকালে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতাও অর্জন করেছি। জাতীয় অস্থিরতার মধ্যেও কীভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হয়, সেটাও এক গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা ছিল।এছাড়া, যোগাযোগ দক্ষতা ও জনসচেতনতা তৈরির বাস্তব কৌশল শেখার সুযোগ হয়েছে। প্রকল্পটি আমাদের নেতৃত্বের আত্মবিশ্বাস ও সামাজিক দায়িত্ববোধ আরও দৃঢ় করেছে।