
ঈদ উল আজহা যাত্রী সেবা ২০২৫
রোভার স্কাউট হিসেবে “সেবা” আমাদের নৈতিক দায়িত্ব ও অঙ্গীকার। পটুয়াখালী লঞ্চঘাটে বিভিন্ন বয়স ও অবস্থা অনুযায়ী যাত্রীরা প্রতিদিন নানা ভোগান্তির সম্মুখীন হন—বিশেষ করে বয়স্ক, অসুস্থ, প্রতিবন্ধী এবং প্রথমবারের মতো যাতায়াত করা যাত্রীরা। এসব সমস্যা কাছ থেকে দেখে আমরা এই সেবামূলক কার্যক্রম শুরু করি, যাতে স্কাউটসের মানবিক মূল্যবোধ বাস্তবে প্রয়োগ করতে পারি এবং সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি।
প্রতিদিন ১৫ জন করে রোভার স্কাউটে ৫ দিনব্যাপী এই কার্যক্রমে অংশ নেয়। প্রতিদিনের কাজের শুরুতে দলকে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হতো—যেমন: টিকিট কাউন্টার, প্রবেশপথ, লঞ্চে ওঠানামার ঘাট, ওয়েটিং এরিয়া এবং জরুরি সহায়তা পয়েন্ট। আমরা যাত্রীদের সঠিক তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি প্রবীণ ও প্রতিবন্ধীদের মালপত্র বহনে সহায়তা করেছি। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, আমরা যেসব যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বা হঠাৎ দুর্বলতা অনুভব করছিলেন—তাদের তাৎক্ষণিকভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা (ফার্স্ট এইড) দিয়েছি এবং প্রয়োজনে বিশ্রামের ব্যবস্থা করেছি।
বাস্তব পরিবেশে দলগতভাবে কার্যকরী ও সুশৃঙ্খলভাবে কাজ করার অভিজ্ঞতা হয়েছে। মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের ফলে নেতৃত্ব, সহানুভূতি এবং জরুরি পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফার্স্ট এইড প্রয়োগের মাধ্যমে প্রাথমিক চিকিৎসা জ্ঞানের বাস্তব ব্যবহার ও আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। আমরা বুঝতে পেরেছি, একজন স্কাউট হিসেবে ছোট ছোট ভালো কাজও মানুষের জীবনে বড় পরিবর্তন আনতে পারে এবং স্কাউটসের মূলনীতি “মানবসেবা” কেমন করে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ হয়।