
মাইলস্টোন বিমান দুর্ঘটনা
মাইলস্টোন কলেজের মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনার পর বহু ছাত্র-ছাত্রীসহ কয়েকজন গুরুতরভাবে আহত ও দগ্ধ হন। তাদের সহায়তার জন্য আমি জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। একজন স্কাউট স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে আমার মূল কাজ ছিল আহতদের পাশে দাঁড়ানো, মানসিক সাহস যোগানো এবং প্রয়োজনীয় প্রাথমিক সহায়তা প্রদান করা।
দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের অসহ্য যন্ত্রণা ও মানসিক ভোগান্তি আমাকে ভীষণভাবে স্পর্শ করেছিল। আমি চেয়েছিলাম সেই সকল মানুষের পাশে দাঁড়াতে, যারা জীবন ফিরে পেতে লড়াই করছিলেন—তাদের অনুভব করাতে যে তারা একা নন। এই উদ্যোগ শুধু বস্তুগত সহায়তার সীমায় আবদ্ধ ছিল না; এর মূল উদ্দেশ্য ছিল মানবিক সহমর্মিতা ও সান্ত্বনার বার্তা পৌঁছে দেওয়া।
এই অভিজ্ঞতা আমাকে শিখিয়েছে যে সংকটের সময় সহানুভূতি ও মানসিক দৃঢ়তা কতটা অপরিহার্য। আমি উপলব্ধি করেছি, স্বেচ্ছাসেবক, চিকিৎসা কর্মী এবং পরিবারের সমন্বিত প্রচেষ্টা একটি দৃঢ় সহায়ক পরিবেশ গড়ে তোলে। বাস্তব জীবনের জরুরি মুহূর্তে স্কাউটদের সেবা ও অবদান যে কতটা কার্যকর হতে পারে, তা এ অভিজ্ঞতা আরও স্পষ্ট করে দিয়েছে।